৬ অক্টো, ২০২২

প্রস্তুত হন, চেরাগ জ্বালিয়ে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী


বিশ্বের জ্বালানি সংকটের পরিস্থিতিতে আদিযুগে ফেরত যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেষে ভেন্নার তেল আর রেড়ির তেল দিয়ে কুপিবাতি জ্বালাতে হবে। এখন থেকে সবাই প্রস্তুত হন, চেরাগ জ্বালিয়ে চলতে হবে। কাঠখড়ি পুড়িয়ে রান্না করতে হবে। জাতিসংঘ সম্মেলন ও যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্বের জ্বালানি সংকটের কথা চিন্তা করে সবাইকে সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে সবাইকে আদিযুগে ফিরতে হবে। শেষে ভেন্নার তেল আর রেড়ির তেল দিয়ে কুপিবাতি জ্বালাতে হবে। এখন তো কেউ ভেন্নার তেল চিনবে না। রেড়ির তেলও চিনবে না। রেড়ির তেল খুব ঘন একটা তেল। অনেকক্ষণ জ্বলে। ভেন্না গাছ তো সবুজ। সবুজ কাটা কাটা ফল হয়। সেটা থেকে তেল তৈরি করে সেই তেল দিয়ে বাতি জ্বালানো হতো। কুপি বাতিও তো বোধহয় চিনবেন না। পিদিম জ্বালায়, চেরাগ জ্বালায়। এটা দিয়ে হারিকেন জ্বালাতে হবে। সেটাতে ফিরতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, গ্যাসের অভাব আমাদের যতটুকু আছে তা ব্যবহার করছি। নতুন করে সন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেটুকু পারি আমরা চালাচ্ছি। উন্নত দেশগুলোর মানুষের যে দুরবস্থা, সেখানকার মানুষ সব থেকে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের দেশেও সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন থেকে সবাই প্রস্তুত হন চেরাগ জ্বালিয়ে চলতে হবে। হাঁড়িতে কাঠখড়ি পুড়িয়ে রান্না করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মাটি ও মানুষকে নিয়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পারলে কোনও অসুবিধা হবে না। আমরা খেয়ে-পরে থাকতে পারবো। মানুষকেও খাওয়াতে পারবো। এই আশ্বাস দিতে পারি।

সরকার খাদ্যের ওপর জোর দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংককে নিয়ে বসেছিলাম। আমাদের কী কী করণীয়? একটা আলাদা বাজেটও রেখেছি। এই বাজেটটি হবে শুধু খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে। সেই প্রস্তুতি নেওয়া আছে। যার যার জায়গা আছে চাষাবাদ শুরু করে দেন। আদিযুগে ফেরত যান। পেট ভরে খেতে পারবেন। শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। আওয়াজ-টাওয়াজ পাবেন না। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ চলার জন্য যতটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন সেটা দিতে পারবো। সেটা পাবেন।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমালোচনা করা হলেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এখন সেই অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়া এসব কথা বলে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে এত প্রচারণা চালিয়ে এখন আবার সেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে যাচ্ছে। জার্মানির মতো দেশ থেকে শুরু করে অনেকেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে গেছে। তবে, আমাদের ওপর অনেক চাপ, অনেক কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু কোনও চাপের কাছে মাথা নত করিনি। দেশের জন্য যেটা প্রয়োজন তা করবো। হ্যাঁ, এজন্য দেশের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন আছি। সেটা যে হচ্ছে (পরিবেশ দূষণ) না, তার প্রমাণও দিয়েছি। আন্তর্জাতিক অনেক ফোরামে প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছে। অনেকের সঙ্গে তো আমার বিতর্কও হয়েছে। এখন তারা কী বলবেন? সামনে পেলে জিজ্ঞাস করতাম এখন কী বলবেন? আবার তো সেই আদিযুগেই ফিরে যেতে হলো।

ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়:

ফেসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর চার উপায়

বর্তমান দুনিয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম একটি হল সামাজিকমাধ্যম। ইন্টারনেটভিত্তিক এই মাধ্যমের রয়েছে বিভিন্ন প্লাটফর্ম। তবে সবার শীর্ষে ফেসবুকের অবস্থান। এছাড়া টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, টিকটকের মতো সামাজিকমাধ্যমগুলোরও রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা।

তথ্য প্রযুক্তির সময়

সামাজিকমাধ্যমের প্লাটফর্মগুলো যার যত ফলোয়ার তাকে তত জনপ্রিয় মনে করা হয়। এজন্য ফলোয়ার বাড়ানোর একটি প্রতিযোগিতা দেখা যায়। যদিও বহু মানুষ আবার এই ফলোয়ারে বিশ্বাসী নয়।

তবে সামাজিকমাধ্যমে ফলোয়ারের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। যার যত ফলোয়ার তার বার্তা তত দ্রুত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। সামাজিকমাধ্যমে তার কার্যক্রম সম্পর্কে তত বেশি মানুষ অবগত থাকে।

ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য উপায় হচ্ছে অর্গানিক ফলোয়ার।

অর্গানিক ফলোয়ার:
ফেসবুকে অর্গানিক ফলোয়ার বলতে সহজে বলা যায় যে, ফেসবুক ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস, ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য বিষয় দেখে যেসব মানুষ সহজে তার প্রতি আকৃষ্ট হয় বা তাকে অনুসরণ করে তারাই অর্গানিক ফলোয়ার। অর্গানিক ফলোয়ার বৃদ্ধির জন্য মানসম্পন্ন, জনস্বার্থ বিষয়, গুরুত্বপূর্ণ বা অন্যের ভালো লাগে এমন লেখা, ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা যেতে পারে। তাহলে অর্গানিক ফলোয়ার বাড়তে পারে।

পেজ ও গ্রুপে পোস্ট:
বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বড় বড় পেজ ও গ্রুপ রয়েছে। আপনার পোস্টটি রিলেটেড পেজ বা গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন। অনেকে পেজ ও গ্রুপে অন্যের স্ট্যাটাস শেয়ার করার অনুমতি দিয়ে থাকে। সেখানে আপনার পোস্ট বা স্ট্যাটাস শেয়ার করলে ফলোয়ার বাড়তে পারে। এভাবে যে ফলোয়ার আসে সেটিও অর্গানিক ফলোয়ার।

বুস্ট করা:
বুস্ট করার মাধ্যমে আপনি রাতারাতি হাজার হাজার থেকে লাখ লাখ লাইকার বা ফলোয়ার পেতে পারেন। এজন্য আপনাকে অর্থ খরচ করতে হবে। ফেসবুকে নিজে বুস্ট করা যায়। অন্যের সহায়তাও নিতে পারেন। সাধারণত নিজে অডিয়েন্স সিলেকশনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো না বুঝলে আশানুরুপ ফলোয়ার আসবে না। এজন্য বিষয়গুলো ভালো বোঝে এমন কারো হেল্প নেয়া ভালো। বুস্ট করার জন্য ইলেক্ট্রিক্যালি পেমেন্টের বিষয় রয়েছে। সাধারণত ডলারে পেমেন্ট দিতে হয়। তবে বাংলাদেশে টাকায়ও পেমেন্ট দেয়া যায়।

বান্ডেল অফার:
ফেসবুকে কিছু মানুষ আজকাল ফলোয়ারের বান্ডেল অফার দিয়ে থাকে। ৫০০০ ফলোয়ার ২০০০ টাকা বা ২০০০০ ফলোয়ার ৫০০০ টাকা। এমন নানা অফার ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে বা পেজে পাওয়া যায়। এসব অফারে অনেক সময় প্রতারিত হতে হয়। টাকা দেয়ার পরে নাম্বার বন্ধ পেতে পারেন। আবার ফলোয়ার পেতেও পারেন। তবে এই ফলোয়ার আসলে কোনো কাজে আসবে না। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা ফলোয়ার। যা শুধু আপনার ফলোয়ারের সংখ্যাটাই বেশি দেখাবে। অর্গানিক ফলোয়ার যেমন আপনার পোস্ট বা স্ট্যটাসে রিয়্যাকশন করবে এই ফলোয়ার তেমন করবে না। এটিকে মৃত ফলোয়ার বলা যেতে পারে।

কোনটি ভালো?
ফেসবুকসহ সকল সামাজিকমাধ্যমের জন্য অর্গানিক ফলোয়ারই সবচেয়ে ভালো ও যুক্তিযুক্ত। এজন্য অযথা পয়সা খরচ করে ফলোয়ার বাড়ানো উচিৎ নয়। নিজের লেখা, ছবি বা ভিডিওর মান বৃদ্ধি করে অর্গানিক ফলোয়ার বাড়ালে সেটি টেকসই হয় ও জনপ্রিয়তাও বাড়ে।